শনিবার (১৬ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৫ জুন) পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, এ দিনটি আনন্দের, খুশির। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বাংলায়। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যায় গ্রামে, আপনজনের কাছে। মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সাথে।
আবদুল হামিদ বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডুকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা, ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।’
তিনি বলেন, ‘ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হাসিখুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বের সকল মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।’