চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! এটা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেননা, মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলায় ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। মেয়েটির হঠাৎ শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। এরপর স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনো পরীক্ষা করানো হয় ওই ছাত্রীর, সেখানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হিসেবে রিপোর্ট আসে।
এ নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের গুঞ্জন চলছে। মেয়েটি জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরিশংকর এলাকার একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশের বাড়ির এক খালার ঘরে প্রায় দিন টিভি দেখতে যেত ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। সেই সূত্রে গৌরীশঙ্কর এলাকার লৈয়ারহাই গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সামছার ওরফে আজাদ (২৮) এর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই সুযোগে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে আজাদ। এভাবে করেই ২ থেকে ৪ দিন পরপর ওই কিশোরী মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলত সামছার ওরফে আজাদ। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারটি নিয়ে কারো কাছে মুখ খুললে কিশোরীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে আজাদ। তাই জীবনের ভয়ে এই ঘটনার কথা কাউকে বলেনি ওই ছাত্রী।
কিন্তু যখন তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন আসে তখন তার মায়ের সন্দেহ হয়। মেয়ের ভাবী তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে নিশ্চুপ থাকে। সেসময় বিষয়টি নিয়ে তাকে চাপ দেয় পরিবারের সবাই। একপর্যায়ে ওই কিশোরী স্বীকার করে যে আজাদ তার সঙ্গে ভয় শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় ভয়ে সে কাউকে কিছু বলেনি বলে জানায়।
এদিকে ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের লোকজন জানান, তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজ উদ্দিন লবিককে বিষয়টি অবহিত করে। তিনি বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে না পেরে তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।
অন্য একটি সূত্রে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, যৌন নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটি ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী হলেও বাস্তবে সে একজন কিশোরী। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই ছাত্রী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে ফেল করেছে। বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছরের বেশি হবে বলে সূত্রের খবরে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শামীম মুসা জানান, বিষয়টি জেনেছি। নির্যাতিতার পরিবারকে আসতে বলেছি। আমরা মামলা নেব। এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলেও জানান তিনি।