প্রতিবন্ধী এক ভিক্ষুক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক। ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী ওই তরুণী অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাইফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ জুন) অভিযুক্ত ওই যুবক ময়মনসিংহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাইফুল গাজীপুরের বারবৈকা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রতিবন্ধী ওই তরুণী গাজীপুরে ভিক্ষা করতো। প্রায় ৭ মাস আগে গাজীপুরের নতুন বাজার এলাকায় ওষুধের দোকানে ভিক্ষা করতে গিয়ে সাইফুলের কাছে প্রথম ধর্ষণের শিকার হন তিনি। এরপর আরও কয়েকবার সাইফুল তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটি বাড়িতে চলে যায়।
সেখানে পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানতে পারেন প্রায় ৬ মাসের গর্ভবতী তিনি। ওই অবস্থায় তরুণীর এক মামা বাদি হয়ে গত শনিবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় কয়েক প্রতিবেশিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনার তদন্তে গিয়ে পায় ভিন্ন চিত্র। নির্যাতিতা প্রতিবন্ধী তরুণীর দেওয়া তথ্য মতে সোমবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাইফুল ইসলামকে। সাইফুল ইসলামও স্বীকার করেন প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের কথা।
থানা হেফাজতে থাকা সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার দোকানে ভিক্ষার জন্য যেতো। কিন্তু ভুল করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে সেই তরুণীর খোঁজ পাননি সাইফুল। এমন ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।মঙ্গলবার বিকেলে সাইফুল ইসলামকে ময়মনসিংহ আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে ধর্ষণে অন্ত:স্বত্ত্বা তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম মাওলা বলেন, ধর্ষণের কারণে প্রতিবন্ধী তরুণী অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হলেও তদন্তে সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ওই অবস্থায় তাকে আটক করা হলে তিনিও তরুণীটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।