ক্রিকেটের সুবাদে কিউই নামের পাখিটির সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করে যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে ‘টাইগার’ বা ‘বাংলার বাঘ’ হিসেবে ব্রান্ডিং করা হয়, তেমনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ব্রান্ডিং করা হয় ‘কিউই’ পাখির সঙ্গে। বিপন্ন এই পাখিটি নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পাখি এবং শুধু ওখানেই দেখা মেলে।
ছোট ও বড় ফোঁটাযুক্ত কিউই, টোকোয়েকা, রোউই ও উত্তর দ্বীপের বাদামি কিউই—এই পাঁচ প্রজাতির কিউই আছে। দৈর্ঘ্য গড়ে ২৫ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার। নিশাচর এবং লাজুক প্রকৃতির এই পাখির ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রখর। ঘ্রাণশক্তির মাধ্যমে এরা খাবার খুঁজে বের করে। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি খুব ক্ষীণ, দিনের বেলায় মাত্র ২ ফুট দূরত্বে দেখতে পারে। মুরগির মতো শরীরে পাখনা থাকলেও উড়তে পারে না। অন্যান্য পাখির একটিমাত্র গর্ভাশয় থাকলেও স্ত্রী কিউইর গর্ভাশয় দুটি। ওজন সাধারণত ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়। এই পাখির লম্বা ঠোঁটের প্রান্তভাগে নাসাছিদ্র রয়েছে। কিউই পাখির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী, শামুক, মাকড়সা, বীজ, শূককীট, কেঁচো, ফল, ছোট চিংড়ি ও ছোট মাছ। স্ত্রী কিউই সবুজাভ-সাদা রঙের মুরগির ডিমের আকৃতির মতো একটিমাত্র ডিম পাড়ে। পুরুষ পাখিটি ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটাতে ১১ সপ্তাহ সময় লাগে।
কিউই শব্দের আগমন মাউরি ভাষা থেকে। মাউরি নিউজিল্যান্ডের একটি সমপ্রদায়, যাদের কাছে এই পাখিটি খুবই প্রিয়।