উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে স্মরণীয় ও আবেগের

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বাকি মাত্র ৪৮ ঘন্টা, মানে দুই দিন। ফুটবলপ্রেমীরা ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ কে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছে স্বাগতিক রাশিয়াসহ বিশ্ববাসিও। এক মাস সারা বিশ্বকে এক সুরে বেঁধে রাখবে একটি খেলা এর নাম ফুটবল। এবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। এই জাঁকজমক অনুষ্ঠানকে আরো বর্ণিল করতে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদো, পপশিল্পী রবি উইলিয়ামস এবং রাশিয়ান গায়িকা আইদা গারিফুলিনা। এমন এক অনুষ্ঠানে কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত রবি উইলিয়ামস। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি এবং রোমাঞ্চিত রাশিয়ায় এমন অনন্য পারফরম্যান্স করার সুযোগ পেয়ে। আমি জীবনে অনেক পারফর্ম করেছি কিন্তু আশি হাজার ফুটবল ভক্তের সামনে কোন বিশ্বকাপ উদ্বোধন করাটা স্বপ্নেরও অতীত। আমরা ফুটবল এবং সঙ্গীতপ্রেমীদের রাশিয়ায় আমাদের সাথে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এছাড়া অনুষ্ঠান মাতাতে থাকবেন রাশিয়ার গানের জগতের সেনসেশন তরুণ গায়িকা আইদা গারিফুলিনা। উচ্ছ্বাস তার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, আমি কখনো কল্পনা করিনি আমি এমন একটা অনুষ্ঠানের অংশ হতে পারবো। তাও আমার নিজ দেশে, রাশিয়ায়। এছাড়া দুইবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো নাজারিও বলেন, উদ্বোধনী ম্যাচটি সবসময়ই একটি প্রতীকী ম্যাচ। এটা এমন একটি মূহুর্ত, যখন আপনি বুঝতে পারেন যে মূহুর্তটির জন্য আপনি চার বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন তা অবশেষে এসেছে। কেউ জানে না টুর্নামেন্টের এই চার সপ্তাহে কি হবে, কিন্তু সবাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে এটা স্মরণীয় হবে। রোনালদো আরও বলেন, অবশ্যই এটা স্বাগতিকদের জন্য আবেগের হবে। এতদিনের কঠোর পরিশ্রমের পর শেষ পর্যন্ত আপনার উঠানে সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরা জড়ো হবে। আমি সেটা চার বছর আগে ব্রাজিলে অনুভব করেছি এবং এখন আমি সেই আনন্দটা রাশিয়ানদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারব বলে আনন্দিত বোধ করছি। এদিকে, মস্কো সিটি সেন্টারের কাছে ফ্যানফেস্টে হৈ-হুল্লোড় আর গান-বাজনায় মুখোরিত থাকবে আগামী এক মাস। রাশিয়া বিশ্বকাপে মস্কোর প্রধান ফ্যানফেস্ট জোনটি করা হয়েছে এখানে। রোববার এ জোনটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ফিফা। লুঝনিকি স্টেডিয়াম থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ ফ্যানফেস্ট জোন। ভরোবায়োভ গোরি নামক মেট্রো স্টেশনে নেমে ফ্যানফেস্ট জোনের রাস্তার দুই পাশের দেশ-বিদেশি মানুষের স্রোত দুই দিকে সবুজ গাছপালা। দুই পাশের ফুটপাত দিয়ে মানুষ ছুটছে ফ্যানফেস্ট জোনে। স্টেশন থেকে বের হওয়ার মুখে দর্শকদের স্বাগত জানানো শুরু হয় এখান থেকেই। বিশ্বকাপ খেলা দেখতে আসা দশর্কদের কতক্ষণ হাঁটতে হবে, কোনো দিকে যেতে হবে, মস্কোর তরুণ-তরুণীরা দর্শকদের হাসিমুখে সে পথ বাতলে দিচ্ছেন। দর্শকদের যাতে কোনো সমস্যা না নয়, সেজন্য কিছুদূর পর পরই সহযোগিতার হাত নিয়ে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের হাসিমুখ আর আন্তরিকতা দিয়েই শুরু হয় দর্শকদের ফ্যানফেস্ট জোন দর্শন। কনসার্ট করবেন প্রতিদিন রাশিয়ার বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পীরা।অতএব, এ এক মাস বিশ্বকাপকে ঘিরে যা কিছু আয়োজন থাকবে সেটা হবে আয়োজকদের জন্য স্মরণীয় ও আবেগের।