সারাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে ধর্ষনের ঘটনা ।সাম্প্রতিক সময়ে আশংকাজনক হারে ধর্ষন ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে সারাদেশে।সমাজের কিছু লম্পট মানুস এ ধরনের অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। ধর্ষনকে যেন অপরাধই মনে করা হয় না । লম্পটদের লালশার শিকার হচ্ছে হাজারো কিশোরী।এমনি এক ধর্ষনের শিকার এক তরুনী। জানা গেছে ১৪ এপ্রিল কাদিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী আছর আলী ওরফে আফছর একই গ্রামের দিনমজুর তাহির আলীর ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে একা ঘরে পেয়ে সম্ভ্রমহানি করে। ঘটনাটি স্থানীয় মাতুব্বরেরা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে, এর আগেই ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ ও দালালেরা। বাধ্য হয়ে ১৮ এপ্রিল কিশোরীর পিতার অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এরপর আফছরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। কিশোরীকে পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে। একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি আফছরের মামা লন্ডনপ্রবাসী আইয়ূব আলী দেশে ফিরে তার ভাতিজা নুরুল ইসলাম, একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী রফিক মিয়া, শ্রীধরপুর গ্রামের শাহজাহান সিরাজ, ইলামেরগাঁও গ্রামের আমিন উল্লাহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের মাধ্যমে আফছরের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে কিশোরীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন।
পরে ১৫ মে জামিনে মুক্ত হয়ে তৎপরতার সাথে এক সপ্তাহ পরেই দুবাইয়ে চলে যায় ধর্ষক আফছর।আফছরের কাছ থেকে আপোষের বাকি তিন লক্ষ টাকা জামিনসহ গ্রামের মাতুব্বরদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর গতকাল বিকেলে স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা সরজমিনে কিশোরীর বাড়ীতে গেলে ধর্ষনের শিকার তরুনী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি টাকা চাই না, যে আমার ধর্ষন করেছে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাই।’ আমি টাকা দিয়ে কি করবো টাকায়তো আর আমার ইজ্জত ফিরে পাবো না।