মা গরুর ৪টি বাঁটেই ভর্তি দুধ। কিন্তু কি জ্বালা। কিছুতেই আয়তনে বড় পিছনের ২টি বাঁট ছুঁয়েও দেখে না দুষ্টু বাছুর ছানা। ফলে ক্রমশ পিছনের ২ বাঁট দুধে টইটম্বুর হয়ে ওঠায় যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠত মা-গরু। এইভাবে দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছিল। সমস্যার কোনও হালই খুঁজে পাচ্ছিলেন না গরুর পালনকর্তা। দুধ জমা হতে হতে ক্রমশ ফুলে উঠছিল মা গরুটির পিছনের বাঁট দুটো। এদিকে সামনের দুটো বাঁটেও দুধের পরিমাণ আসছিল কমে। দুধ না পেয়ে তাই ছটফটিয়ে উঠছিল বাছুর। এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ ছড়িয়ে অসুস্থ হয়ে উঠবে মা গরু। অপুষ্টিতে ভুগবে বাছুরটিও। একথা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েন গোয়ালা ও তাঁর স্ত্রী। সমস্যার হাল খুঁজতে দিনরাত আকাশ পাতাল ভাবতে থাকেন গরুর মালিক। অবশেষে গোয়ালার স্ত্রীর মাথায় দারুণ একটা বুদ্ধি খেলে যায়।
তিনি তাঁর পুরনো একটি ভালো ব্রা নিয়ে গরুর কাছে স্বামীকে নিয়ে যান। স্ত্রীর পরামর্শে গরুর সামনের ২টি তুলনামূলক ছোট দুধের বাঁটে দড়ির সাহায্যে ব্রা পরিয়ে দেন গোয়ালা। এতেই সাফল্য আসে। দেখা যায়, মায়ের সামনে বাঁট থেকে দুধ না পেয়ে পিছনের বাঁটে দিব্যি মুখ গুঁজে দিয়েছে আদুরে বাছুর। এতে দুধ দোয়ার সমস্যাও গেল মিটে। এমন চমকপ্রদ কার্যকরী পদ্ধতিতে মুগ্ধ হয়ে যান গোয়ালার প্রতিবেশী ডোনাল্ড রস। স্কটল্যান্ডের টেইন শহরের বাসিন্দা রস পেশায় নিজেও একজন গোয়ালা। ব্রা পরিহিত গরুর বাছুরের দুগ্ধপানের সুন্দর মুহুর্তের ছবি চটপট তুলে নেন মুগ্ধ রস। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন তিনি। নিমেষে সেইসব ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এমন আন্তরিকতার সঙ্গে সন্তানসম প্রাণীর যত্ন নেওয়ার জন্য গরুর মালিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন পশুপ্রেমী নেটিজেনরা।