অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এবারের সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা খুবই সামান্য।
আজ সোমবার সংসদে সম্পূরক বাজেটের উপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিভাগের জন্য সংসদ সরকারকে যে ক্ষমতা দিয়েছে সেটা যতদুর সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এবারের সম্পূরক বাজেটের একটি ভাল দিক হলো, যদিও বাজেট বাস্তবায়ন যথেষ্ট কম হয়েছে, কিন্ত গত কয়েক বছরে সরকার বৈদেশিক সাহায্যের যে পাহাড় গড়ে তুলেছে, সেই পাহাড়ে এবার কিছুটা ধস নেমেছে। এবার বৈদেশিক সাহায্য বেশ ভালভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে। সরকার সেখান থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চেয়েছিল, খরচ করেছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, সম্পূরক বাজেট যেভাবে পাস করা হয়, তা সংবিধান সম্মত। সংবিধান আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ড. আব্দুর
রাজ্জাক বলেন, সম্পূরক বাজেটে যে পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে তা বাস্তব সম্মত। বাজেটের যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জিত হয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হচ্ছে বলে বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার বসে নেই, বেসিক ব্যাংক ও ফারমার্স ব্যাংকের অনিয়মে জড়িত ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাত একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। ইসলামী ব্যাংককে এগ্রেসিভ ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের বলা হয়েছে, আমরা আরেকটি বেসিক ব্যাংক দেখতে চাই না।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তৃকির সুপারিশ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এবারের বাজেটও বাস্তবায়ন হবে এবং দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।