অস্ট্রিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল ব্রাজিল

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ব্রাজিল রীতিমতো হুঙ্কার দিল। আগের ম্যাচে শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়াকে ২-০ গোলে পরাজিত করার পর অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৩-০ গোলের বড় জয় পেল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

দলের সব থেকে ইতিবাচক দিক হল, এই ম্যাচেও গোল পেলেন তাদের এক নম্বর তারকা নেইমার। চোট সারিয়ে দলে ফেরার পর দুটি ম্যাচে মাঠে নেমে দুটিতেই গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দল ব্রাজিল তাদের ধারাবাহিকতার জন্যই প্রতিবার বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ফেভারিটের মর্যাদা পায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তিতের দল শেষবার কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার মেনেছিল দুবছর আগে। কোপা আমেরিকায় পেরুর কাছে ০-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ১৬টি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। মাত্র দুটিতে ড্র করেছে তারা। জয় তুলে নিয়েছে ১৪টি ম্যাচে।

এই যদি হয় বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের দলগত পারফরম্যান্স, তবে তারকার দ্যুতিতেও কোনো অংশে কম যান না ব্রাজিলিয়ানরা। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় দলে ফেরা নেইমার ছাড়াও গোল পেয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে নেইমারের পাশাপাশি গোল করলেন দলের দুই নির্ভরযোগ্য তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও ফিলিপ কুটিনহো।

ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে নেইমারকে শুরু থেকেই মাঠে নামান তিতে। মাঠে ছিলেন ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। শেষবেলায় তার জায়গায় ডগলাস কস্তাকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ। যদিও তার আগেই গোলের সেলিব্রেশনে শরীর প্রদর্শন করে হলুদ কার্ডও দেখেন নেইমার।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে জেসুসের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ব্রাজিল। প্রথমার্ধে আরো তিনটা সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। ৬৩ মিনিটে উইলিয়ানের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন নেইমার। ৬৯ মিনিটে ফিরমিনোর ক্রস থেকে দলের হয়ে তৃতীয় গোল কুটিনহোর।

আগামী ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ব্রাজিল। ২২ ও ২৭ জুন গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।