সেই তরুণীকে পাঠানো হচ্ছে- রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগে রনি হক নামের সেই ব্যক্তি ও তার গাড়িচালক ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রনিকে আদালতে তোলা হবে এবং তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১০ জুন, রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এ ঘটনার পরে দুপুরে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রনি হক ও তার গাড়িচালক ফারুককে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরে রনি হক আটক হলেও ফারুক পালিয়ে যায়। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘ওই তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর আটক করা রনিকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।’
এর আগে গতকাল ৯ জুন, গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওই তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রনি হক নামের এই ব্যক্তি ও তার গাড়িচালককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। গণপিটুনির একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক পালিয়ে গেলেও রনিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
১০ জুন, রবিবার শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘আটক রনি হককে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছিল, তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এই ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে ঘটনার দুটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন রাফি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।
রাফি আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি অফিস থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে তার সামনে থাকা গাড়িতে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি গাড়িটিকে অনুসরণ করেন। যানজটের কারণে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন রাফি।
গাড়ির ভেতরের ধস্তাধস্তি রাফি আহমেদসহ রাস্তায় থাকা আরও অনেকের নজরে আসে। রাফি আহমেদ তার পোস্টে দাবি করেন, গাড়িটি যানজটে আটকা পড়লে তিনিসহ সাধারণ মানুষ গাড়িটির সামনে গিয়ে দেখেন ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো – গ ২৯- ৫৪১৪’।
রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছিল বলে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দাবি রাফি আহমেদের।
ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা ওই ব্যক্তি ও তার গাড়ির চালককে বাইরে বের করে পিটুনি দিচ্ছেন। একপর্যায়ে ‘ধর্ষণকারী’ ও গাড়ির চালক উভয়কেই নগ্ন করে রাস্তায় মারধর করতে দেখা যায়।