জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় ইয়াবার ট্যাবলেটের প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলায় নাঈম (৫) নামে এক শিশুকে নির্যাতন করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ী! পরে শিশুকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত শিশু মাইজবাড়ি গ্রামের ওয়াসিমের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলো- একই গ্রামের মৃত ময়নাল হক তালুকদার মাখনের ছেলে ও ইয়াবা ব্যবসায়ী শিথিল তালুকদার।স্থানীয়রা জানায়, শিশু নাঈম মাইজবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন স্থানে খেলতে যায়। এ সময় সেখানে একটি পরিত্যক্ত প্যাকেট দেখতে পেয়ে হাতে নিয়ে ভেতরে খেলনা ভেবে ছিঁড়ে ফেলে সে। এতে প্যাকেটের ভেতরে থাকা ইয়াবাগুলো মাটিতে পড়ে যায়।
এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ী শিথিল ইয়াবা নষ্ট হওয়ায় শিশুটিকে মারধর করে। একপর্যায়ে শিশুটিকে লাথি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে নাঈমের দাদি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য এসএম রাসেল কাদের তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।নাঈমের দাদি রোমেছা বেগম জানান, ছোট শিশু। প্যাকেটে কী আছে না আছে সেটা কীভাবে বুঝবে। খেলার সময় প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলেছে। প্যাকেটের ভেতর নাকি ইয়াবা বড়ি ছিল। সেগুলো মাটিতে পড়ে যায়। এতে নাতিকে মারধর ও লাথি মেরেছে ইয়াবা ব্যবসায়ী শিথিল তালুকদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাইজবাড়ি গ্রামের কয়েকজন জানান, শিথিল তালুকদার এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতো। বছর খানেক আগে তাকে সেনাবাহিনী থেকে মাদকসেবনের দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। এখন ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা করছে তিনি।ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাকিবা সুলতানা জানান, মারধর করার কারণে ভয়ে শিশুটি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাকে শিশু ওয়ার্ডে ৩ নং বেডে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুছ ছালাম মিয়া জানান, শিশুটিকে মারধরের কথা শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।