নাসিরের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

ইনজুরি আক্রান্ত বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাসির হোসেনের পায়ের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে নাসিরই জানান সফল অস্ত্রোপচারের কথা।

শুক্রবার নাসিরের যে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তার ব্যাপ্তি ছিল ৩ ঘণ্টা। চোট পাওয়ার পর অনেকদিন কেটে গেলেও অস্ত্রোপচার হয়েছে একটু দেরিতে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় ধরনের ইনজুরিগুলোতে নির্ভরতার অপর নাম ডেভিড ইয়ং। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও তার অধীনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। অ্যাথলেটদের ‘প্রিয় চিকিৎসক’ অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ইয়াং নিজেই ছিলেন অসুস্থ। আর অস্ট্রেলিয়ান এই চিকিৎসকের অধীনেই নাসিরের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। গত মাসের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া উড়াল দেন নাসির।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা একটি ছবি সংযুক্ত করে নাসির লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্‌, আপনাদের সবার দোয়াতে অপারেশন (অস্ত্রোপচার) সাকসেসফুল (সফল হয়েছে)।’

নিদাহাস ট্রফির পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে সিরাজগঞ্জে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি পান ইনজুরির সংবাদ। সিরাজগঞ্জ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরেই নিজের হাঁটুর অবস্থা দেখাতে যান বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে। তার পরামর্শে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয় নাসিরকে। এরপর এমআরআই রিপোর্টে দেখা যায়, পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নাসিরের। দেবাশীষ তখনই জানান, সুস্থ হয়ে উঠতে নাসিরের অস্ত্রোপচারের কোনো বিকল্প নেই।

ডান হাঁটুর এই ইনজুরির কারণে ছিটকে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের শেষ দুটি রাউন্ডের খেলা থেকেও। ডিপিএল শেষে আমন্ত্রণে সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলেন নাসির হোসেন। সেখানে ফুটবল খেলতে গিয়ে ডান হাঁটুতে চোট পান তিনি। যার ফলে লিগামেন্টই ছিড়ে যায় এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের। ঘরোয়া ক্রিকেট তো বটেই, এই ইনজুরি নাসিরকে ছিটকে ফেলে জাতীয় দলের বাইরেও।

আর এই কারণেই সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে নাসির ছিলেন না বাংলাদেশ স্কোয়াডে। জনপ্রিয় এই অলরাউন্ডারের সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে লেগে যাবে প্রায় ছয় মাস।