এরা কেমন মেয়ে ? ছিঃ লজ্জা নেই এদের …

স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পানের বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরনের দৈহিক সমস্যার জন্য খালি পেটে পানি পান খুবই উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়ার বিষয়টি আমরা জানলেও অনেকে এই কাজটি করতে অবহেলা করি। কিন্তু এ বিষয়ে অবহেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হলে সকালে পানি পান করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যুগান্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন।
ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক উপকার পাবেন। কারণ পানি পরিপাক প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। পানি কম হলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, বদহজম, দেহকে বিষমুক্ত ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া নিয়মিত সকালে পানি খাওয়ার অভ্যাস যদি কেউ গড়ে তুলতে পারেন তবে শরীরে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজে।
ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ী সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করার কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেয়া যাক-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
পানি কম হলেই শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কারণ পানি পরিপাক প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দেহকে বিষমুক্ত রাখে
রাতের বেলায় শরীর নিজেই নিজের মেরামতের কাজ সম্পন্ন করে এবং বিষাক্ত পদার্থগুলোকে একত্র করে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে বিষাক্ত উপাদানগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে শরীর বিষমুক্ত থাকে।
বদহজম দূর করে
পাকস্থলির এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বদহজম হয়। সকালে খালি পেটে পানি খেলে বদহজম দূর হয়। এছাড়া অন্ননালিতে এসিড রিফ্লাক্স হলে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভোগে। খালি পেটে পানি পান করলে এসিড নিচের দিকে চলে যায়।
কিডনির পাথর প্রতিরোধ
ঘুম থেকে জেগেই পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়া এবং মূত্রথলির ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করে। খালি পেটে পানি পান করলে পাকস্থলির এসিড পাতলা হতে সাহায্য করে। এই এসিড কিডনির পাথর সৃষ্টির জন্য দায়ী। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে টক্সিনের দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের ব্লাডার ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।