ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হত্যা করতে ৮ কোটির রাইফেল ও ৪ লাখ গুলি!

মোদিকে হত্যা করতে- আমাদের উপমহাদেশ এবং বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী একটি দেশ ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাভাবিক ভাবেই এত বড় পর্যায়ের একজন বেক্তির শত্রু থাকবেই। সেরকমই কিছু শত্রুদের খুজে পেল ভারত সরকার জারা কিনা মোদীকে মারতে প্রস্তুত।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মতো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্র মাওবাদীরা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিপত্র থেকে এমন তথ্য মিলেছে বলে বৃহস্পতিবার আদালতে জানিয়েছে পুনে পুলিশ।

নিষিদ্ধ সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভীমা-কোরেগাঁও জাতি হিংসায় এই পাঁচজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দলিত নেতা সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গাডলিং, মহেশ রউত, সোমা সেন ও রোনা উইলসন।

পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির সমাজসেবী রোনা উইলসনের ঘর থেকে চিঠি উদ্ধার হয়েছে। ৮ কোটি টাকায় এম-৪ রাইফেল ও চার লাখ রাউন্ড গুলি কেনা এবং রাজীব গান্ধীর মতো ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।

চিঠি উদ্ধৃত করে সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বলা পাওয়ার বলেন, আমরা রাজীব গান্ধীর মতো ঘটনার কথা ভাবছি। এটা আত্মঘাতীর মতো মনে হচ্ছে, আমরা ব্যর্থ হতে পারি। তবে আমাদের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা উচিত দলের।

উদ্ধার হওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কমরেড প্রকাশ, লাল সেলাম…হিন্দু ফ্যাসিস্টকে হারানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও আশঙ্কা। গোপন সেল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারাও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

দেশজুড়ে সমমনোভাবাপন্ন দল, রাজনৈতির দল, সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের একত্রে আনার চেষ্টা করছি আমরা। আদিবাসীদের জীবন বিপন্ন করছে মোদির নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্টরা।

বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে হারলেও ১৫টিরও বেশি রাজ্যে সরকার গঠনে সামর্থ্য হয়েছেন মোদি। এই গতিতে চলতে থাকলে সব দিক থেকে বেকায়দায় পড়বে দল। মোদি জমানা শেষ করার জন্য পোক্ত পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন কর্নেল কিসান ও অন্যান্য প্রবীণ কমরেডরা।’

চিঠিটি এক বছর আগে লেখা বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিসগঢ়ের মতো মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিযুক্তদের আইনজীবীর অবশ্য দাবি, চিঠিটি ভুয়া। তার মক্কেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

চিঠি নিয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নিজেদের কাজ করছে। আদালতে বিচার চলছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালতই।

চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম। তার কথায়, আমি এটাকে একেবারে মিথ্যা বলব না। কিন্তু এটা মোদির পুরনো কৌশল। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে যখনই তার জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হয়েছে। তাকে হত্যার পরিকল্পনার খবর ছড়িয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা উচিত।

বিজেপি নেতা নলিন কোহলির প্রতিক্রিয়া, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নকশালরা চাপে রয়েছে। এই ধরনের লোকেদের যোগ রয়েছে মূলধারার দলগুলোর সঙ্গে।