গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা খাবেন

চলতি মাসের শুরু থেকে গরমে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সবাই কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর সর্দিকাশি তো বটেই, তবে অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন হিট স্ট্রোকে। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে না এবং শরীর অত্যন্ত ঘামতে থাকে। এর পরের ধাপেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু পানীয় আছে যেগুলো খেলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেই-

কাঁচাআমের শরবত
গরমে কাঁচাআমের জুস খুবই উপকারী। এটা শরীর ঠাণ্ডা রাখে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

মাঠা
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে প্রতিদিন এক গ্লাস মাঠা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এটা প্রোবায়োটিক্সয়ের ভালো উৎস এবং গরমে পানি স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় মাঠা যুক্ত করুন।

তেঁতুলের শরবত
সুস্বাদু এই শরবত সবাই খুব পছন্দ করে। তাছাড়া গরমে এই শরবত খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপযোগী। ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট সম্পন্ন তেঁতুল গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি পেটের নানান ধরনের সমস্যা সমাধান করে।

পেঁয়াজের রস
হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার অন্যতম ভালো উপায় হল পেঁয়াজের রস। অনেকেই এর ঝাঁজালো স্বাদ পছন্দ করে না। তবে এর রস ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন। পেঁয়াজের রস গরম থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

ধনিয়া ও পুদিনার শরবত
এই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি শরবত গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। যা উন্নতমানের ‘ডিটক্সিফাইইয়িং’ বা শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেয়ার জন্য উপযুক্ত পানীয়। খালি পেটে পান করলে তা শরীরের জন্য বেশি ভালো।

অ্যালোভেরার শরবত
রোদপোড়া থেকে বাঁচতে অ্যালোভেরার শরবত অনন্য। এটা হজমে সাহায্য করে, বুক জ্বালাপোড়া কমায় এবং পেটের নানারকম সমস্যা দূর করে। গরমে প্রতিদিন এক গ্লাস অ্যালোভেরার শরবত পান করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসে।

ডাবের পানি
এর গুণাগুণ সম্পর্কে প্রায় সবারই জানা। দুপুরের গরম থেকে মুক্তি পেতে ডাবের পানি পান করুন, সতেজ অনুভব করবেন। এটা তাৎক্ষণিকভাবে তৃষ্ণা মেটায় ও দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা বজায় রাখে।

হিট স্ট্রোক হলে কি করবেন
আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে তার কাপড় খুলে দিন। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। সম্ভব হলে কাঁধ, বগল ও কুঁচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাবার স্যালাইন দিন ও দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।