ঘুষ নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন বিশ্বকাপের রেফারি

ফিফা বিশ্বকাপেও ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া নেমে এল। বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক সপ্তাহ নেই। তার আগে এ খবরে গোটা ফুটবল দুনিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশন প্রকাশ্যে ঘুষ নিতে দেখা গেল বিশ্বকাপের জন্য তালিকাভুক্ত রেফারিকে।

ফিফা বিশ্বকাপে তালিকাভুক্ত রেফারির পাশাপাশি আরো কয়েকজন রেফারিকেও ভিডিওতে দেখা গেছে৷ শুধু একা রেফারি নন, আফ্রিকান ফুটবল ফেডারেশনের বেশ কয়েকজন কর্তাকেও দেখা গেল উপহার হিসেবে টাকার বান্ডিল নিতে। বিশ্বকাপের আগে আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন কর্তা এবং স্বীকৃত রেফারিদের মধ্যে একটি গোপন স্টিং অপারেশন করে বিবিসি।

বিবিসির দাবি অধিকাংশ রেফারিই টাকার পরিবর্তে ম্যাচে পক্ষপাতিত্বে রাজি হয়ে যান। যে রেফারিদের মধ্যে স্টিং করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছেন কেনিয়ার রেফারি আদিল মারোয়া। রাশিয়ায় ফিফা বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলানোর কথা ছিল তাকে৷ আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের তরফেই তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। মারোয়ার এই স্টিং প্রকাশ হওয়ার পরই ফুটবল জগতে হুলস্থুল পড়ে যায়৷ প্রশ্ন উঠতে থাকে রাশিয়া বিশ্বকাপের স্বচ্ছতা নিয়ে। তদন্তের নির্দেশ দেয় ফিফা।

মারোয়া অবশ্য ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর নিজে থেকেই ফিফার রেফারি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন৷ মারোয়া ছাড়াও স্টিং অপরেশনে নাম জড়ায় ফিফা কাউন্সিলের সদস্য কেশি ন্যান্টাক্যির৷ আফ্রিকান ফুটবলের প্রভাবশালীদের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে উচ্চারিত হয় কেশির নাম৷ আফ্রিকান কনফেডারেশনের পাশাপাশি ফিফাতেও বেশ প্রভাব রয়েছে কেশির।

গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে পদ ছাড়তে হয়েছিল খোদ ফিফা প্রেসিডেন্ট শেপ ব্লাটারকে৷ সেই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ ৭ জন ফিফা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছিল সুইস পুলিশ৷ ১৪ জন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল তাদের পদ থেকে৷ এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে থাকে ফিফার স্বচ্ছতা নিয়ে৷ সদ্য প্রকাশিত স্টিং সেই প্রশ্ন আরো জোরালো করল।