‘ঈদে এত নাটক প্রচারের কোনো মানে হয় না’

জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। আসছে ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই ঈদের কাজগুলো শেষ করবেন বলে জানান এই অভিনেতা। তার পরেই উড়াল দেবেন আমেরিকায়। এবার ঈদ তিনি সেখানেই উদযাপন করবেন। মিলন বলেন, ঈদের কাজগুলো শেষ করেই আমেরিকায় যাবো।
দেশে ফিরবো জুলাইয়ে। আমেরিকায় আমার স্ত্রী ও সন্তান থাকে। তাদের সঙ্গে ঈদ করতেই সেখানে যাচ্ছি। কাজের কারণে তাদের সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। তাই ঈদের এই সময়টুকু তাদের সঙ্গেই কাটাতে চাই। তবে ঈদের সময় দেশে না থাকলেও দর্শক আমাকে ঈদের নাটক-টেলিছবিতে দেখতে পাবেন। আসছে ঈদে এই অভিনেতাকে আঠারোটি নাটক ও দুটি টেলিছবিতে দেখা যাবে। টেলিছবি দুটি হলো চয়নিকা চৌধুরীর ‘রসিয়া’ ও তপু খানের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’। উল্ল্যেখযোগ্য নাটকগুলো হলো চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিয়ের শাড়ি’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘লাভলী কথাচিত্র’, ফিরোজ কবির ডলারের ‘জ্বিনের বাদশা’, অর্ক মাহমুদের ‘ছায়া সংশয়’। এছাড়া আরো দেখা যাবে হানিফ সংকেত, সকাল আহমেদসহ অনেক জনপ্রিয় নির্মাতার নাটকে। ঈদে এবার এই অভিনেতাকে কেমন গল্পের নাটকে দেখা যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার আমি কমেডি, সিরিয়াসসহ বেশ কিছু নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি নাটকে আমাকে দেখা যাবে ফিল্মের পরিচালকের চরিত্রে। এমন চরিত্রে আমি আগে কখনো অভিনয় করিনি। এছাড়া আরো একটি নাটকে অভিনয় করেছি ওল্ড টাউনের এক ফ্যাশনপ্রিয় ছেলের চরিত্রে। যে প্রেমে পড়ে সব কিছু উজাড় করে দেয়। বলতে পারি একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে অন্য নাটকের মিল নেই। প্রতিটি নাটকে নতুনত্ব দেখেছি। ঈদে দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রায় ছয় শতাধিক নাটক প্রচার হবে বলে জানা যায়। একজন অভিনেতা হিসেবে এই সংখ্যাকে কিভাবে দেখছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংখ্যায় এটি অনেক। আমাদের একটি ঈদে এত নাটক প্রচারের কোনো মানে হয় না। সর্বোচ্চ দেড়শ নাটক প্রচার করলে আমি ভালো মনে করি। চ্যানেলগুলো ছয়শ নাটকের বাজেট যদি দেড়শ নাটকে দিত তাহলে আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজ হতো। নাটকের মান কেমন হচ্ছে আমরা এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতাম না। কিন্তু আমাদের এখন সব সময় বলতে হচ্ছে নাটকের মান নিয়ে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এই অভিনেতা বিভিন্ন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করে আসছেন। আলাপনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কোনো একটি নাটকের জন্য মম, মেহজাবিন ও তিশা-এই তিন অভিনেত্রী থেকে একজনকে নিতে বলা হলে তিনি কাকে নেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মমকেই নেবেন বলে জানান মিলন। কারণ, মমর সঙ্গে তার অনেক কাজের মধ্য দিয়ে ভালো একটি কেমিষ্ট্রি তৈরি হয়েছে। এছাড়া কাজের প্রতি মম অনেক আন্তরিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ছোট পর্দার পাশাপাশি এই অভিনেতা বড় পর্দায়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি তিনি আরিফুর জামান ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ শিরোনামের একটি ছবির শুটিং শুরু করেছেন। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন গহর নামের চরিত্রে। এই চরিত্রটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি শরৎচন্দ্রের ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’-এর একটি চরিত্র। ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’ ছবিতে দর্শক ‘রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত’কে জেনেছে। ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে নির্মাতা গহর চরিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। দর্শক নতুন একটি চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত হবেন বলে আশা করছি। ঈদের পরেই এই অভিনেতা শুটিং শুরু করবেন নির্মাতা-অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ‘পাপ কাহিনি’ ছবির। এছাড়া তার হাতে আরো রয়েছে অনিরুদ্ধ রাসেলের ‘জামদানি’ ও ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘লাগ-ভেলকি’ ছবি দুটি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘রাত্রির যাত্রি’, ‘সাদাকালো প্রেম’, ‘স্বপ্নবাড়ি’, ‘নাইওর’ ও টার্গেট। মুক্তি প্রতিক্ষিত এ ছবিগুলো নিয়ে বেশ আশাবাদী বলে জানান আনিসুর রহমান মিলন।