শুভেচ্ছা পত্র সমাচার

একটা সময় ছিল যখন শুভেচ্ছা পত্র ছাড়া ঈদ কিংবা জন্মদিন কল্পনাই করা যেত না। বন্ধু ও প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা জানাতে খোঁজা হতো দোকানের সবচেয়ে সুন্দর শুভেচ্ছা পত্রটি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন সেই দিনগুলো আর খুব একটা চোখে পড়ে না। এখন আমাদের শুভেচ্ছা জানানোর ব্যাপারটি হয়ে পড়েছে অনেকটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর। কিন্তু তারপরও শুভেচ্ছা পত্র হারায়নি তার নিজস্ব আবেদন। তাই তো শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এর প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শুভেচ্ছা পত্রের রকমফের নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন—

আমেরিকা

শুভেচ্ছা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-কার্ডের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই আমেরিকায় কমতে শুরু করেছে শুভেচ্ছা পত্রের চাহিদা। কিন্তু তারপরও প্রতিবছর প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন কার্ড বিক্রি হয় দেশটিতে, যা নিতান্তই ছোট একটি সংখ্যা নয়। জন্মদিন ও ক্রিসমাসকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা পত্রের চাহিদা থাকে তুঙ্গে এবং শুভেচ্ছা পত্র বিনিময়ে আমেরিকায় ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা।

জাপান

জাপানে নতুন বছরে শুভেচ্ছা পত্র পাঠানোর রীতিকে বলা হয়ে থাকে ‘নেনগাজো’। এর মাধ্যমে জাপানিজরা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনদের সারপ্রাইজ দিয়ে থাকেন। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জাপানে নেনগাজো বিনিময় হয় প্রায় ১৬০০ মিলিয়ন। অর্থাত্ প্রত্যেকে প্রিয়জনদের দিয়েছিলেন গড়ে প্রায় ১৩টি নেনগাজো ।

চীন

কথিত আছে যে, শুভেচ্ছা পত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল চীনাদের হাত ধরে। তা আজ থেকে প্রায় কয়েকশ’ বছর আগে। অনেক সময় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও আগেরকার মানুষ শুভেচ্ছা পত্রকে ব্যবহার করতেন। তখন কাগজের পাশাপাশি কাঠের টুকরোকেও শুভেচ্ছা পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

ইংল্যান্ড

প্রথম ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা পত্র প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে। সময়টা ছিল ১৮৪৩ সাল। স্যার হেনরী কোল জন ক্যালকট হর্সলে নামের একজন চিত্রকরকে ভাড়া করেছিলেন কিছু হলিডে কার্ড ডিজাইন করার জন্য। তাদের হাত ধরেই প্রকাশিত হয় ক্রিসমাস কার্ড।