৩০ বছর পর কিভাবে যৌবন ধরে রাখবেন?

বয়স ৩০ বছর পার হলেই এটা-ওটা-সেটা করার নানা পরামর্শই দিয়ে থাকে ছোট পর্দার বিজ্ঞাপনগুলো। কার কথা শুনবেন আর কারটা ফেলবেন, বুঝে ওঠাই দায়। আর সেই চক্করে নানা ধরনের অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, চুল শক্তপক্ত রাখার তেল, চামড়ায় ভাঁজ না পড়ার লোশন ব্যবহার করা শুরু করেন। তাতে ফল কী হয়? একগুচ্ছ কেমিক্যাল ত্বক সহ্য করতে না পেরে আরওই বারোটা বাজে৷ তাহলে উপায়? সত্যিই তো যৌবন ধরে রাখতে কে না চায়! আর তার সহজ কিছু উপায়ও আছে।

বিজ্ঞাপনী পণ্যে না মজেও নিজেকে অষ্টাদশী ভেবে অন্তত যুবতী রাখা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। চটপট জেনে নিন নিজেই নিজের যত্ন কীভাবে রাখবেন।

রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
রোদ ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে যাদের সামান্য রোদেই ট্যানের সমস্যা রয়েছে, তারা যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। তাই রোদে বের হলে অবশ্যই SPF ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদ থেকে দূরে থাকতে ছাতা বা টুপি কিংবা ওড়নাকে কাজে লাগান।

আপনার ত্বক কি অত্যন্ত শুষ্ক, রুক্ষ? সে ক্ষেত্রে ত্বকে ভাঁজ বেশি লক্ষ্যণীয়। মধু, দই ইত্যাদি দিয়ে বাড়িতে তৈরি বিভিন্ন প্যাক ব্যবহার করে ত্বককে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। স্নানের পর কোনও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

ভিতর থেকে সুস্থ থাকুন
ত্বকের জেল্লা তখনই বাড়ে যখন আপনি ভিতর থেকে সুস্থ থাকেন। পেট পরিষ্কার থাকাটা খুব জরুরি। আর ত্বকে উজ্জ্বল বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করুন। এতে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয় না। এছাড়া ভিটামিন ই রয়েছে এমন খাবার-দাবার খান। নিয়মিত আলমন্ড খেলে ত্বক সুন্দর হয়।

বিউটি স্লিপ
অনেকেই বিউটি স্লিপ বিষয়টিকে হেসে উড়িয়ে দেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর উপকারিতা অনেকখানি। এতে শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষগুলোতে হরমোনের সঞ্চার হয় এবং তা ভালো থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমে চোখের নিচে কালি পড়ে না।

যদি মনে করেন, ত্বকের যত্ন নিলেই তা সুন্দর থাকবে ও বয়সের ছাপ পড়বে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। সবার আগে প্রয়োজন শরীর সুস্থ রাখা। নানা কর্মব্যবস্তার মধ্যেও কিছুটা সময় বের করে নিন ব্যায়াম বা যোগাসনের জন্য। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক-আউট করা অনেকেরই সম্ভব হয় না। প্রয়োজনও নেই। বাড়িতেই নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। ত্বকের জেল্লা নিজেই অনুভব করতে পারবেন।