আইয়ুব বাচ্চুকে কি বলেছিলেন আসিফ ? যা শুনলে আপনি চমকে যাবেন

কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এ নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, ‘জেলে নেয়ার মতো সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এই মামলা করাই ঠিক হয়নি।’
আবার অনেকেই এর বিপরীতে গিয়ে বলছেন,‘আসিফ বহু সিনিয়রের সঙ্গেও খারাপ ব্যাবহার করেছেন। যখন-তখন একে ওকে হুমকি দিতেন।’

প্রীতমের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘তুহিনের মামলা করা ঠিক হয়েছে। কারণ আইন ছাড়া এসবের সমাধান হতো না। আইয়ুব বাচ্চুকে ইহুদি বলেছিলেন আসিফ আকবর। এনাম সরকারের শরীর থেকে রক্ত ঝরিয়েছেন। সিঙ্গার নাসিরকেও আহত করেছেন। ইথুন বাবুকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য উদ্ধত হয়েছিলেন আসিফ।’

তিনি আরও বলেন,‘ উনি বলে থাকেন আমি ওদের গানের জগতে এনেছি। প্রথম কথা হচ্ছে উনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় গান করতে আসে ১৯৯৯ সালে। এর আগে উনি কিছুই ছিলেন না। আমি মিউজিক কলেজে পড়াশোনা করেছি, ঢাকায় জন্ম নিয়েছি। শফিক তুহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন। তুহিন কম করে হলেও ২০০ মিউজিক ডিরেক্টর, সিঙ্গারের সঙ্গে কাজ করেছে। আমি ৩৫ থেকে ৪০ জন গীতিকার-সুরকার নিয়ে কাজ করতাম। আমি গান লিখে ও সুর করে বিক্রী করতাম। টোটাল জীবনে আমিও তার গানই করেছি ২৭টি। এই ২৭টি গান যদি পাঁচ হাজার টাকা করে তিনি দিয়ে থাকেন। তাহলে ১,৩৫,০০০ টাকার বেশি হয় না। তিনি যে বলে বেড়াচ্ছেন যে তিনি আমাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, খাওয়ার জায়গা করে দিয়েছেন। উনি এগুলো কবে কি করেছেন। উনিই ভালো জানেন। ’

আসিফকে নিয়ে বলেন,‘২০০০ সালে আসিফ আকবরের অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে। সে সময় আমি জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর ছিলাম। তাঁর অ্যালবামের আগে আমার অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। সে কীভাবে বলে যে সে আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে? শুরুতে কারও অবস্থাই ভালো থাকে না। আর সে যে আমাকে খাবার দিয়েছে। তিনি যখন ঢাকা এসেছেন। কোন বাসায় থাকতেন। সেটা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। তাঁর বাসায় আমি গেছি মাত্র তিনবার।