পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগলকে আটক করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ওই যুগলকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে তারা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে উভয়ের অভিভাবকদের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করে পবিপ্রবি প্রশাসন। তারা দু’জনই পবিপ্রবির শিক্ষার্থী।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষরে ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র ও সনাতন সংঘের সভাপতি ব্রোজেন মন্ডল মঙ্গলবার (৫ জুন) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষের এক ছাত্রীকে নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ভবনের একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘক্ষণ ওই কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা জানালা দিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।
এসময় শিক্ষার্থীরা হৈচৈ শুরু করলে ব্রোজেন মন্ডল কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। ওই ছাত্রী একটি আলমারির পেছনে লুকিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা কক্ষে ঢুকে ওই ছাত্রীকে নগ্ন অবস্থায় খেতে পেয়ে শিক্ষকদের জানান। খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা ওই প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিয়ের ব্যাপারে তাদের সম্মতি চাইলে ওই প্রেমিক যুগল তাতে অস্বীকৃতি জনান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। রাতে অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে এলে ওই তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে টিএসসি ভবনের কর্মচারী ও একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, মাঝে মাঝেই এই প্রেমিক যুগল ওই কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো। ইতোপূর্বে এমনটি অনেকেরই চোখে পরেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা যায় আটক প্রেমিক যুগলের বাড়ি খুলনায়।
বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের (আটক ছাত্রীর হল) সহকারী প্রভোস্ট মো: শাহীন হোসেন জানান, ঘটনার পর উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডাকা হয়। পরে তাদের অভিভাবকরা এলে মুচলেকা নিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।