তিন মন্ত্রীকে অপসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরে দুজনকে সরানো হলো। আর শারীরিক কারণে অন্যজনকে অপসারণ করা হয়েছে।
অপসারিত মন্ত্রীরা হলেন, জেমস কুজুর ও চূড়ামণি হাসদা। আর শারীরিক কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হলো কৃষ্ণনগরের (উত্তর) অবনী জোয়ারদার।
এ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা আমাকে আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। দলের কাজ করবেন।’
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা জেমসের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল পরিবর্তনের পরেই। ২০১৬ সালে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বিধানসভা থেকে জিতলে তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন মমতা।
কিন্তু রাজনীতির বাইরের লোক হিসেবে তখন থেকেই তাকে ঘিরে দলের ভেতরে নানা গুঞ্জন ছিল।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেমসকে নিয়ে জেলার নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচারে গিয়ে সেই আঁচ পেয়েছিলেন জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। ভোটে জেমসের কেন্দ্রে ভালো ফল করেছে বিজেপি। তারপরই তাকে সরতে হলো।
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি হাঁসদার কাজকর্মে দলের উচ্চপর্যায়ে অসন্তোষ ছিল। ওই জেলায়, এমনকি চূড়ামণির কেন্দ্রেও খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। অপসারণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে চূড়ামণি হাঁসদা বলেন,‘এবার মাঠে নেমে চাষ করব।’