ঘরে ঘরে নাকি চাকরি দেয়া হবে- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশে বেকারের সংখ্যা ৬ কোটি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জনসংখ্যাকে নাকি জনসম্পদে রূপ দেবেন।
কিন্তু এই বৃহৎ জনসংখ্যা জনসম্পদে নয়,নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুনেছিলাম ঘরে ঘরে নাকি চাকরি দেয়া হবে হবে, হয়নি। এখন ঘরে ঘরে ইয়াবা। ডিজিটাল দেশ গড়ার কথা। দেশ এখন মাদকে টালমাটাল।
জাপা কাকরাইল কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শ্রমিক সমাবেশে এরশাদ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, সরকার দলীয় মধ্যম সারির এক নেতা বলেছেন ‘আমি নাকি কখন কি বলি তার ঠিক নেই’।
এরশাদতো বেচেঁ আছে, আর আমার জন্য আপনারা বেচেঁ আছেন। তিনবার এই এরশাদের জন্যই ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন।এবারও আমার আশায় আছেন। কিন্তু ভবিষৎ বহু দূর। আমার সম্পর্কে মেপে কথা বলবেন বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এইচ এম এরশাদ বক্তব্যের শুরুতে বলেন, পত্রিকা খুললেই দেখি বেগম জিয়া অসুস্থ, ইউনাইটেডে চিৎিসার প্রয়োজন, তারেকের নাগরিত্ব নেই, নির্বাচন অনিশ্চিত। সবকিছুই অনিশ্চিত। এ অবস্থার মধ্যেই জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নারী সমাজের আজ করুণ দশা। নারীর ক্ষমতায়ন শুধু ঘরের মাঝেই। আর কোথায় নেই। শুধু মৃত্যু, আর নারী ও শিশু ধর্ষণ। নারী এতো নিষ্পেশিত তা বলে শেষ করা যাবে না। দেশটা অধঃপতনে গেছে।
কারণ দেশে সুশাসনের অভাব।সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মাদার হিউম্যান পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি।আমরা কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ। এরশাদ বলেন, আমাদের হাতে আজ কিছু নেই।
গনতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, বেচেঁ থাকার অধিকার নেই। আছে শুধু শৃঙ্খল। আর এশৃঙ্খল ভাঙ্গতে হবে।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজ ভালো নেই। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকলে শ্রমিকে উন্নয়ন হতো। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের নতুন সূর্য উঠবে।
এর জন্য দলকে আরো শক্তিশারী করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী না করলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ফয়সল চিশতি, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মো. শান্ত, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।