দেরাদুনের অবস্থা ম্যাড়ম্যাড়ে। আলো আছে তো বাতাস নেই, নুন আছে পান্তা নেই! এই না হয় আলো-বাতাস আর নুন-পান্তার হিসাব-নিকাশ। কিন্তু মাঠের অবস্থাও যাচ্ছে তাই। ডিজিটাল স্কোর বোর্ডের সিস্টেম নেই। ডিজিটাইজড তো দূরের কথা, প্রথম ম্যাচে দেখা গেছে রিভিউ পর্যালোচনার মেশিনটাও নেই দেরাদুনে।
মাঠের নামার আগে জাতীয় সংগীত গাইতে গিয়ে ঠিকমত সাউন্ডটুকুও শুনেননি সাকিব বাহিনী। তাই তো ম্যাচ শেষে হারের বদলা নিতে ভুলেননি তাদেরই সমর্থকরা। রটিয়েছেন, ভুল-ভাল সংগীত গেয়েছেন দলের অনেক খেলোয়াড়। আবার অনেকে নাকি সংগীত চলাকালীন চুপও থেকেছেন। যদিও পরোক্ষণে এমন অভিযোগকে ঠুনকো বলে হাওয়া উড়িয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। তার মতে, এতটা দেশদ্রোহী নন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।
যাই হোক, বাজে পরিবেশ, বাজে স্টেডিয়াম। তবে দেরাদুনের উইকেটকে বাজে বলেননি দুই পক্ষের কোন খেলোয়াড়। কিন্তু কথা হলো, বাজে পরিবেশ কি কাবু করে ফেললো আমাদের টাইগারদের। তাই প্রস্তুতি ম্যাচের ন্যায় প্রথম ম্যাচেও হার তাদের?
প্রথম ম্যাচে বোলিং ও ব্যাটিং দুই সেক্টরেই ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশ। স্পিন বান্ধব উইকেট হওয়া সত্ত্বেও মিস্টার ক্যাপ্টেন সাকিব গুরুত্ব দিয়েছেন পেসারদের ওপর। যখন মোসাদ্দেক-রিয়াদের দুই ওভারে তিন রান এলো তখন তার বুঝা উচিত ছিল এই মাঠ মোটেও পেস বান্ধব নয়। কিন্তু না, তা না করে শেষের দিকে পেসারদের খেলিয়েছেন তিনি। তার খেসারত অবশ্য দিতে হয়েছে হাতে নাতে। শেষ ৫ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ৭১ রান! আবুল হাসান ও আবু জায়েদ রাহী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে মেজাজে বল করতে হয় সেটার প্রমাণ দিতে পারেননি।
একই অবস্থা ব্যাটিংয়েও। ব্যাটিংয়ে নেমে এক রশিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে পুরো দল। দেশে থাকা অবস্থা আফগান স্পিনারকে নিয়ে যে ভয় ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের তা বাস্তবে রুপ দিলেন তিনি।
সে আর যাই হোক। আশা করা যায় আজকের ম্যাচে সে ভুলগুলো আর করবে না বাংলাদেশ। চলুন জেনে নেয়া যাক কেমন হতে পারে দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য টাইগারদের একাদশ
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু হায়দার রনি, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবুল হাসান ও রুবেল হোসেন।