আবারো দেশে ফিরে এল সৌদি থেকে ৪০ জন বিভিন্ন বয়সের নারী। যাদেরকে মোটা অংকের বেতনের কথা বলে মানুষ নামের সৌদি পাষন্ডদের হাতে তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশি কিছু স্বার্থলোভি দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। গতকাল রাতে এই সব নারী কর্মীরা দেশে ফেরে। রাত ৮টায় তারা ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
ফিরে আসা রোমানা বলেন, তিন মাস আগে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি গিয়েছিলাম। মালিক কাজ করাতো, খাবার দিতো না। সারাদিন দুই পিস রুটি খেয়ে দিন কাটাইছি। বাংলাদেশি কোনো লোক পাইনি, অত্যাচার সইতে না পেরে একদিন পালিয়ে যাই। উঠি রিয়াদের সফরজেলে। সেখান থেকে দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশে আসি। সৌদির দানব মালিক আমার পাসপোর্টটি পর্যন্ত দেয়নি। আউট পাস নিয়ে জীবন নিয়ে দেশে ফিরলাম।
গত কাল যারা দেশে ফিরে আসেন তাদের মধ্যে কয়েক জন হল গাজীপুরের কোণাবাড়ি এলাকার পারভিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রুকসানা ও সখিনা, হবিগঞ্জের রেহানা ও হাসিনা, বগুড়ার গোলাপ বেগম।
গাজীপুরের পারভিন আক্তার বলেন, ওরা আমাদের দেশের মানুষের মতো না। মনে করেছে, আমাদের কিনে নিয়েছে, দাসীর মতোন দুই মাস কাজ করেছি, একটি টাকাও দেয়নি। বেটা ঘরের বউ রেখে আমার সঙ্গে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিলে আমি ইজ্জত রক্ষা করতে পালিয়ে দূতাবাসে গিয়ে উঠি। সেখানে নির্যাতিত নারীদের বিচারে কিছুই করা হয় না। কেবল আউট পাস ধরিয়ে দেশে পাঠানোর সুযোগ করে দেয়া হয়।
এই সব ফেরত আসা নারীরা বলেন, আমাদের কথা কি সরকারের কাছে যাবে। আমরা কি ন্যায় বিচার পাব না?