বয়স যখন ছয়, তখন তার চেয়ে ১৫ বছর বেশি বয়সী একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। তারপর স্বামীর অপর দুই ভাইকেও বিয়ে করতে হয়েছে খাদিজাকে। বর্তমানে খাদিজার বয়স এখন ১৮ বছর। খবর: এবেলার।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এবেলা জানায়, প্রথমে খাদিজার বিয়ে হয় এক তালেবান জঙ্গির সঙ্গে। তিনি নিহত হয় মার্কিন সেনার হাতে। তার পরে তার বিয়ে হয় এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে।
সে নিহত হয় তালেবানদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে। তার তৃতীয় স্বামী ছিলেন এক দোভাষী। মার্কিন সেনাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করতে হতো তাকে। এখন তার জীবনও বিপন্ন। কারণ তালেবানরা তাকে এবং তার শিশুপুত্রকে খুনের হুমকি দিচ্ছে।
জানা যায়, খাদিজার তিন স্বামী আসলে তিন ভাই। তাদের পাখতুন সমাজের নিয়ম, মৃত ভাতৃজায়াকে বিয়ে করতে হবে স্বামীর পরের ভাইকে। এভাবেই তাকে পর পর তিনটি বিয়ে করতে হয়।
ঘটনাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের এক আফিম উৎপাদক কৃষক পরিবারের মেয়ে খাদিজা। জন্মের আগেই তার বাবা তার খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন। সেই মতো ৬ বছর বয়সে খাদিজার বিয়ে হয় তার থেকে ১৫ বছরের বড় জিয়া উল হকের সঙ্গে।
সেইসময়ে তাদের বাসভূমি মারজা ছিল তালেবানদের স্বর্গ। জিয়া তালেবানদের খাতাতেই নাম লেখায়। মাঝে মাঝে সে বাড়ি আসত। কিন্তু মারজায় মার্কিন সেনার প্রভাব বাড়লে তার আসা যাওয়া কমে যায়। এক সময়ে এক এনকাউন্টারে সে নিহত হয়। খাদিজার বয়স তখন ১০।
জিয়ার পরের দুই ভাই পুলিশে চাকরি করত। পুলিশও এই সময়ে যুদ্ধে লিপ্ত। তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ভাই আমিনুল্লাহর সঙ্গে খাদিজার আবার বিয়ে হয়। তখন আমিনুল্লাহর বয়স ২২ বছর।
পরে ২০১৪ সালে আমিনুল্লাহও মারা যায়। খাদিজার গর্ভে তখন সন্তান। ১৪ বছর বয়সে তার এক কন্যাসন্তান জন্মায়। পবিত্র কোরআন নির্ধারিত চার মাস পরে বিধবা খাদিজার পুনরায় বিয়ে হয় পরের ভাই শামসুদ্দিনের সঙ্গে।