আগামী ১৪ জুন সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ হচ্ছে। ওইদিন সব অফিস ছুটি হওয়ায় টিকেটের চাহিদাও বেশি। এজন্য কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন টিকিটের জন্য। টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্টেশনেই কাটছে নির্ঘুম রাত।
সোমবার দিনগত রাত থেকেই বাড়তে থাকে টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তার আগেই কমলাপুর রূপ নেয় জনসমুদ্রে। কমলাপুরে এখন শুধু মানুষ আর মানুষ। টিকিট কাউন্টারের সামনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৪ জুনের টিকিট। সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬টি কাউন্টারে টিকিট দেয়া হচ্ছে।এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।
টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।
এদিকে ট্রেনর অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।