বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের মতো আর কোথাও নিজের দেশের পতাকা উড়তে দেখেননি জাতীয় দলের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ ডিয়েগো ক্রুসিয়ানি। এখনো সেই স্মৃতি ভুলতে পারেন না তিনি। তার মতো এমন খবর শুরু ম্যারাডোনাও একই অবস্থা। বাংলাদেশ ছেড়েছেন বহুদিন হয়ে গেছে ক্রুসিয়ানি। বিশ্বকাপের উন্মাদনা দেখেছেন খুব কাছে থেকে। অবাক হয়ে বাসা-বাড়ির ছাদে উড়তে দেখেছেন নিজ দেশসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকা। অনুভব করেছেন তাঁর দেশের জন্য বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা। এ দেশের মানুষ যে তাঁর দেশ আর্জেন্টিনাকে কত ভালোবাসে এই ব্যাপারটাই কখনো ভুলতে পারেন না তিনি। বিশ্বকাপের সময় পতাকার উৎসব শুরু হয় বাংলাদেশে। ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপের সময় অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন ঢাকার বাড়িঘরের ছাদে উড়ছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, পর্তুগাল, ইতালি প্রভৃতি দেশের পতাকা। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার পতাকার সংখ্যাই বিস্মিত করল তাঁকে আকাশি নীল-সাদা রঙের এত পতাকা বোধ হয় বুয়েনেস এইরেসেও কখনো দেখেননি ক্রুসিয়ানি। বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর বিভিন্ন সময়ে তিনি কাজ করেছেন মালদ্বীপ, ক্যামেরুন ও চিলিতে। বর্তমানে আছেন নিজ দেশের একটি জুনিয়র দলের সঙ্গে। বিশ্বকাপে দুয়ারে। এখনো তার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে গল্পে-আড্ডায় প্রায়ই উঠে আসে বাংলাদেশ-প্রসঙ্গ। ওরা অবাক হয়। বিশ্বকাপ এলেই ব্যাপারটা মনে পড়ে বেশি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়াকে খুব ভালো চেনেন ক্রুসিয়ানি। নিজের বাংলাদেশ-অভিজ্ঞতা একবার নাকি তাঁর কাছে বর্ণনা করেছিলেন। ক্লদিয়া তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশের একটি ছবিও চেয়ে নিয়েছিলেন। পরে সেটি নাকি ম্যারাডোনাকে দেখান। বাংলাদেশের বাড়ির ছাদে অজস্র আর্জেন্টাইন পতাকা অবাক করেছিল ফুটবল কিংবদন্তিকেও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কও নাকি বলেছিলেন খোদ আর্জেন্টিনার মাটিতেও এত আর্জেন্টাইন পতাকা তিনি দেখেননি।