বিশ্বকাপের মঞ্চেও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ করা যায়নি। যার প্রভাব পড়ছে ম্যাচের ফলাফলেও। সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ হারের হ্যাটট্রিকে এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। পাগলাটে টিম সিলেকশন আর ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলে টিম ম্যানেজমেন্টকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর আরও একবার কাঠগড়ায় হাথুরুসিংহেরা। ভারতের সাবেকরা যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেট দেখেও কেন একজন বাড়তি স্পিনার খেলানো হলো।
তেমনি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা অবাক হয়েছেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারকে এত নিচে খেলানো নিয়ে।
গতকাল পুনেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের উদ্বোধনী দুই ব্যাটার ভালো শুরু পেলেও টপঅর্ডার আর মিডল অর্ডারে ধস থামানো যায়নি।
সাতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে মান বাঁচে বাংলাদেশের। আড়াইশো ছাড়ায় দলীয় সংগ্রহ। এদিন মুশফিক করেন ৩৮ রান। বা-ঊরুতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি সাকিব। তার জায়গায় দলে নেওয়া হয় স্পিনার নাসুম আহমেদকে।
পাকিস্তানের ‘এ স্পোর্টস’ এর ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘সাকিব ১০ ওভার বোলিং করে থাকে এবং টপঅর্ডারে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
বাংলাদেশের কেউ একটি জিনিস আমাকে একটু বোঝান, যখন আপনি মিডল অর্ডার নিয়ে ধুঁকছেন; আপনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহকে কেন ৭-৮ নম্বরে খেলানো হয়। তার টেকনিক ভালো, অভিজ্ঞতা আছে তাকে আপনারা ফিনিশার হিসেবে রেখে দিয়েছেন। যেখানে মিডল অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে।
পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, ‘মুশফিক ৬ নম্বরে এসেছে। সে ভালো ফর্মে আছে। সাকিব নেই তার যেই সুযোগটা ছিল সেটা ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে।
আপনি কিছুটা হলেও তো পরিবর্তন করতে পারতেন। কারণ সাকিব নেই। জুটি প্রয়োজন ছিল। মুশফিক ভালো ফর্মে। এই দুজনকে ওপরে খেলালে তারা খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।’