১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ হয়েছে ৩২ দলের অংশগ্রহণে। আগামী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ছে আরও ১৬টি। প্রথমবারের মতো ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা।
প্রথমবারের মতো ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে
ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এই খবর পুরোনো। নতুন খবর হচ্ছে পাল্টে গেল বিশ্বকাপের ফরমেট। ২০১৭ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল যে ৪৮টি দলকে ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রথম রাউন্ডের খেলা মাঠে গড়ানো হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে তিনটি করে দল। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের পর ফিফার ভাবনায় এসেছে বদল। ১২টি গ্রুপ হবে প্রথম রাউন্ডে। প্রতিটি গ্রুপে দল থাকবে আগের মতোই চারটি করে।
মঙ্গলবার রাতে ওয়ান্ডার কিগালিতে ফিফার বার্ষিক সভায় নতুন ফরমেটের বিশ্বকাপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত আসরে ৮০টি ম্যাচ আয়োজনের কথা থাকলেও এটি এখন হতে যাচ্ছে ১০৪ ম্যাচের বিশ্বকাপ। বলা বাহুল্যে মোট ম্যাচের অর্ধেকেরও বেশি আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকো ও কানাডা তুলনামূলক অনেক কম ম্যাচ পাচ্ছে।
পরিবর্তিত ফরমেটের প্রথম রাউন্ড নিয়ে ঝামেলা নেই। কিন্তু একটু জটিলতা আছে নক আউট পর্ব নিয়ে। এক্ষেত্রে ফিফা হেঁটেছে উয়েফার পথে। অনেকটা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আদলে। পার্থক্য কেবল দল সংখ্যায়। এতদিন বিশ্বকাপে নক আউট পর্ব হয়েছে ১৬ দলের। কিন্তু সামনের আসরে নক আউট পর্ব শুরু হবে ৩২ দল নিয়ে।
প্রথম রাউন্ডের ১২টি গ্রুপের সেরা দুই দল টিকিট পাবে নক আউট পর্বের। আর টেবিলের তৃতীয় সেরা আটটি দল নক আউট পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলগুলোর সঙ্গী হবে। কারণ আগের ফরমেট অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডে কিছু ম্যাচ গুরুত্বহীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
নতুন এই ফরমেটে ফাইনালে ওঠা দুই দল আটটি করে ম্যাচ পাবে। এতদিন ফাইনালিস্টরা সাতটি করে ম্যাচ খেলেছে। গতকাল রাতেই সভা শেষে এক বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, ‘ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তাবিত ফরমেট সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে।’