আর্থিক সচ্ছলতা আনতে দীর্ঘ ১৩ বছর আগে আনিসুল হক মিলন (৩৫) দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার এক আত্মীয়ের মেয়ের সঙ্গে গত ১৫ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্ত্রীকে দেখার আগেই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জোহানেসবার্গ থেকে কেপটাউনে যাওয়ার পথে বুফুল এলাকায় একটি ট্যাক্সিকে লরি চাপা দিলে এ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও দুজন।
এর মধ্যে আহত একজন সুস্থ হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক মিলন। ৪দিন চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আনিসুল হক মিলন ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রামানন্দপুর গ্রামের মাঝি বাড়ির বাহার মিয়ার ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলনের ১ম জানাজা শেষে লাশ দেশে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশে গিয়ে জাঁকজমকভাবে বিবাহের অনুষ্ঠান করে নতুন স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিবেন। কিন্তু এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তার। অবশেষে কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে মিলনকে।