ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান জানালেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ডাক্তার তাসনিম জারা। বাংলাদেশি এই তরুণ চিকিৎসক প্রায়ই ওষুধের বিকল্প হিসেবে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এবার তিনি জানালেন কীভাবে ওষুধ না খেয়েই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বিছানাতেই বাজিমাৎ
শোয়ার ভঙ্গিমার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে, এমনটাই মত ডাক্তার তাসনিম জারার। তিনি বলেন, বিছানায় মাথার অংশ কিছুটা উঁচু করলে এই গ্যাসের সমস্যার সমাধান সম্ভব। একটির জায়গায় দুটি বালিশ ব্যবহার করলে সমস্যা মিটবে, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং এক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই চিকিৎসকের ভাষ্য, বালিশ দিয়ে মাথা উঁচু করলে পেটের একটি অংশে চাপ পড়ে বেশি। ফলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।
সেক্ষেত্রে কী উপায়? তাসনিম জারা বলেন, খাটের পায়ার নিচে কাঠ বা ইঁট দিয়ে মাথার দিকটা উঁচু করলে সমস্যার সমাধান হওয়ার অনেকটাই সম্ভাবনা রয়েছে।
সব খাবারে সকলের গ্যাস হয় না
অনেকেই গ্যাসের জন্য খাওয়া-দওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সকলের একই খাবারে গ্যাস হয় না। গ্যাসট্রিক মানেই সমস্ত খাবার খাওয়া বন্ধ নয়। সবার ক্ষেত্রে গ্যাসের কারণ হিসেবে আলাদা আলাদা খাদ্য দায়ী। একজনের একটি খাবার খেলে গ্যাস হলে অন্যজনের অপর একটি খাবারে হতে পারে।
তাসনিম বলেন, খাওয়া এবং ঘুমের মাঝে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। একেবারে বেশি খাবার খেলে অনেকের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে পেটে চাপ পড়ার একটা বিষয় থাকে। আর সেই কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
সমস্যাটা যখন মনে
তাসনিম বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যও অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি ওজন বেশি থাকলে তা নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে। সেক্ষেত্রে কারও যদি ওজন বেশি হয় তার গ্যাসের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এক্ষেত্রে সতর্কভাবে ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
উপরের নিয়মগুলো মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন এই চিকিৎসক। তবে কারও গুরুতর সমস্যা হলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।