গ্রেফতারি পরোয়ানায় আন্দোলন দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা দেশে যখন আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, সমাবেশগুলোতে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটছে- তা দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দেখে সরকার এখন তার ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এতে কি আন্দোলন দমানো যাবে? ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন- রাজপথে ফয়সালা হবে। অতত্রব রাজপথেই ফয়সালা করে এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপির উদ্যোগে ‘তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে’ এ সমাবেশ হয়। এতে ঢাকা মহানগর বিএনপি ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে যখন দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলনের নেমেছেন, তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন, তখন স্বাভাবিকভাবে এ গায়ের জোরের সরকার ভীত। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে ২-৩ দিন আগে অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবহণ ধর্মঘট সৃষ্টি করে মানুষকে কষ্ট দেয় আমাদের সমাবেশকে দুর্বল করার জন্য। কিন্তু তাতে কি সমাবেশে মানুষকে ঠেকানো গেছে? এই পর্যন্ত যতগুলো সমাবেশ হয়েছে এ দেশের মিডিয়া, জনগণ সবাই দেখেছেন, ওইসব শহরে সর্ববৃহৎ সমাবেশ হয়েছে। সামনের সমাবেশগুলোতে যত বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করুক, ভয়ভীতি-বাধাকে উপেক্ষা করে তা সফল হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই- দেশের মানুষের মুখ মামলা দিয়ে বন্ধ রাখতে পারবেন না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরাফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নিরব, মহানগর দক্ষিণের ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।