আপনার মন যদি ভালো থাকে, তাহলে কিন্তু ত্বকও থাকবে দারুণ। মন ভালো থাকলেই তার জেল্লা দেখা যাবে মুখেও। তাই মন খারাপ থাকলে আমাদের মুখেও তার ছাপ পড়ে। আবার মন ভালো থাকলে সেই উজ্জ্বলতা হয় দেখার মতো।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য কী না কী করি আমরা। কখনো একটি কঠিন ও জটিল স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলি; আবার কখনও অনেক অনেক বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে এর সঙ্গে কিন্তু ভালো লাইফস্টাইল মেনেও চলতে হবে। একটি ভালো জীবনশৈলী আপনার ত্বক ভালো রাখতে পারে।
তবে এটাও কি আপনি জানেন, শুধু চুমু খেলেই বাড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা? না এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই কথা কিন্তু সত্য়ি! এমনকী এর নেপথ্যে বেশ কিছু কারণও খুঁজে পাওয়া গেছে। একাধিক হেলথ জার্নালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আসলে চুমু খাওয়ার সময়ে ফেসিয়াল মাসলের এক্সারসাইজ হয়। আর আপনাকে নিশ্চয়ই এই কথা নতুন করে বলে দিতে হবে না যে, ত্বক ভালো রাখতে এই ফেসিয়াল মাসলের এক্সারসাইজ কতটা প্রয়োজন!
চুমু খাওয়ার সময়ে আপনার মুখের ২-৩টি ফেসিয়াল মাসল বা মুখের পেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত চুমু খান, তবে আপনার মুখের একাধিক পেশি প্রতিদিন সক্রিয় থাকে ও তাদের ব্যায়ামও হয়। মুখের ব্যায়াম করলে টোনড জ লাইন তো আপনি পাবেনই। সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তাই মুখের জেল্লা হয় দেখার মতো।
এছাড়াও মুখের পেশি ভালো থাকে। এতে আপনার মুখের কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ে। ফলে সহজেই ত্বকে পড়ে না বয়সের ছাপ। মুখ থাকে টানটান। তাহলে বুঝতেই পারছেন, নিয়মিত চুমু খেলে শুধুই ত্বকের জেল্লা বাড়ে তাই নয়, বরং আপনার মুখে বয়সের ছাপও পড়ে না।
আমাদের শরীরে অক্সিটোসিন নামে একটি হরোমন নিঃসরণ হয়। যাকে হ্যাপি হরমোনও বলা হয়। আমাদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই এই হরমোন নিঃসৃত হয়। তবে চুমু খেলে বা ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে ধরলে এই অক্সিটোসনি হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়।
অক্সিটোসিন হরমোন স্কিন হিলিং করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যা ইনফ্ল্যামেটরি ফ্যাক্টরকে কমিয়ে দেয়। মন ভালো থাকার কারণে ত্বকেও জেল্লা হয় দেখার মতো। ইনফ্ল্যামেশন কম হওয়ার কারণে ত্বকের নানা সমস্যা কমতে শুরু করে। ত্বকে প্রদাহ কমেয়। যেমন অ্যাকনের মতো সমস্যাও কমে যায়। গবেষণায় সেই তথ্য় উঠে এসেছে।