আজান ইসলামের অন্যতম শিয়ার বা নিদর্শন। এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম স্বীকৃত একটি বিষয়। এজন্য মুয়াজ্জিনেরও রয়েছে অনেক উঁচু মর্যাদা। এ পদের অধিকারীদেরকে ইজ্জত-সম্মানের চোখে দেখা অবশ্য কর্তব্য। কারণ এটি কোনো চাকরি নয়; বরং ইসলামের সুমহান একটি খেদমত। সাধারণত মসজিদগুলোতে বেতনসহ মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রাম বাংলার বহু মসজিদে দ্বিনপ্রাণ বহু মানুষ বিনা বেতনে বা নামমাত্র বেতনে আজান দেন বছরের পর বছর।
তেমনি গ্রাম বাংলার একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন মুন্সীগঞ্জের হেলাল মোল্লা। তার বয়স প্রায় ৮০ বছর। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বিনা বেতনে আজান দিচ্ছেন জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগরের বাহেরচর আব্দুস সালাম জামে মসজিদে।
হেলাল মোল্লা মসজিদে আজান দিতে শুরু করেছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। নিজের ভালো লাগা ও মুসল্লিদের উৎসাহ থেকে আজান দিতে শুরু করেন তিনি এবং আজান দিতে চান আগামীর দিনগুলোতেও। তিনি বলেন, ‘যত দিন আল্লাহ শরীর সুস্থ রাখবেন এবং পায়ে হেঁটে মসজিদে যেতে পারব, তত দিন আজান দিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ!’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ও কিয়ামতের দিন মুক্তির আশায় আজান দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ যদি কবুল করেন। ’
হেলাল মোল্লার আজান সম্পর্কে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম বাবু নামের এক মুসল্লি বলেন, হেলাল মামাকে আমরা শৈশব থেকেই আজান দিতে দেখছি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে আজান দিয়ে যাচ্ছেন। এটা খুবই ভালো কাজ, সাওয়াবের কাজ। আমি মনে করি, আল্লাহ তাকে কবুল করছেন বলেই মানুষকে নামাজের প্রতি আহ্বান জানানোর এত দীর্ঘ সুযোগ তিনি পেয়েছেন।