আগামী ২২ এপ্রিল থেকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট, দোকান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। এছাড়া শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও বোনাসের ৯৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার অর্ধেক ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ঈদের আগে ঋণ প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রদান এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে আগামী তিনমাসের মধ্যে দেশকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনারও দাবি জানান তারা।
রোববার (১৮এ প্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির অফিস কক্ষে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে মার্কেট ও দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। এসময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভুইয়াসহ ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়িক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হেলালউদ্দিন বলেন, গত এক বছর প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২০ সালে ১৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পরে তখন আমরা দোকান মালিকরা স্বেচ্ছায় ২৫ মার্চ হতে সবকিছু বন্ধ করে দেই। সরকার পরদিন ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে চরম ব্যবসায়ীক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা নেমে আসে।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ মে’র পর আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও মার্কেটসমূহ খুলে দেয়ার পর ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা গতি আসে। এরপর আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল বিধিনিষেধ এবং ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।’এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মার্কেট খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।