সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শিক্ষকের নিয়োগপত্র দেয়া হবে ফেব্রুয়ারিতে। এ লক্ষ্যে চলতি মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ণ কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোরবার বিকেলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। চলতি মাসের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে তা উল্লেখ করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে।’
কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়া হবে-জানতে চাইলে আশফাক হুসেন বলেন, ‘সব প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। ফল প্রকাশের পর যোগ্য প্রার্থীদের এসএমএসের মধ্যেমে জানিয়ে দেয়া হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে এসএমএস ও লিখিতভাবে এ তথ্য জানানো হবে। ৩০ দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকে যোগদান করতে বলা হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে যোগদান না করেন তবে পরবর্তী মেধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করে তাকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে।’
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শূন্য আসনের বিপরীতে প্রায় ৩০ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। মেধা তালিকায় প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধনধারী প্রায় ৭ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে গড়ে ৭টি করে আবেদন পড়েছে।
জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৫৩৫ শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চলে। তালিকা অনুযায়ী, প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধিত চাকরি প্রত্যাশী পৌনে সাত লাখ প্রার্থী প্রায় ৩০ লাখ আবেদন করেছেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আশফাক হুসেন জানান, আদালতের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ করা হয়েছে। বয়সসীমা পার হওয়ায় যারা আবেদন করতে পারছেন না তারা নতুন করে আদালতে ৭টি মামলা করেছে। মামলা শেষ না করে ফল প্রকাশ করা সম্ভব না, এ কারণে শিক্ষক নিয়োগ দিতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে নতুন করে আরও ২০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে গেছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলতি বছরের আগস্টে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদান দেয়া হবে।’