একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সাধারণত দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কিন্তু রমজান মাসে অভুক্ত থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া গরম আবহাওয়া, পরিশ্রমের কাজ ও অতিরিক্ত গৃহস্থালির কাজ থেকে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে।
আপনার যদি অতিসামান্য প্রস্রাব তৈরি হয় অথবা তা বন্ধ হয় অথবা পানি শূন্যতার কারণে অজ্ঞান হবার অবস্থা তৈরি হয় তাহলে ইসলামের বিধান অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে পানি শূন্যতা যাতে তৈরি না হয় তার জন্য প্রত্যেক রোজাদারগণের আগাম সতর্কতা বা আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
যেমন: ইফতার ও রাতের খাবারের পর প্রচুর পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি সেহেরি খাওয়ার পূর্বে অথবা সেহেরির সময় প্রচুর পানি ও তরল পদার্থ পান করতে হবে। তাহলে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দেবে না।
শুধু পানি পান নয়, আপনি পানির পরিবর্তে ঘরে তৈরি লেবুর শরবত, ডাবের পানি, মান সম্মত জুস (যদি পাওয়া যায়), স্যুপ, তরল দুধ ইত্যাদি পান করতে পারেন। মনে রাখতে হবে কোনো অবস্থায় রোজা থাকাকালীন পানি শূন্যতা হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য প্রয়োজনে পরিশ্রমের কাজ, ব্যায়াম বা শরীর চর্চা ও রোদে বেশিক্ষণ না থাকাই ভালো। তবে পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের কারণে জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা থাকলে অবশ্যই দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।